কেমন করে এলো পেরেক জেনে নিন সেই ইতিহাস!



পুরাতত্ত্বের চর্চা থেকে দেখা যাচ্ছে যে, গত প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বছর ধরে মানুষ পেরেকের ব্যবহার করে আসছে। অবশ্য এই গত শতাব্দী পর্যন্ত প্রত্যেকটি পেরেক বেশ কষ্ট করে হাতে তৈরি করা হতো। আর পেরেকের দামও ছিলো খুব বেশি। এই যে আজকাল দমাদম পেরেক ঠুকে ঘরবাড়ি, আসবাবপত্র সবকিছু বানিয়ে ফেলা সম্ভব হচ্ছে- মেশিনে অসংখ্য পেরেক অল্প সময়ে বানিয়ে ফেলার সুযোগ না থাকলে সেটা সম্ভব হতো না।
প্রথম যে মেশিনটি তৈরি করা হয় তা চ্যাপ্টা পাত থেকে ছাচের সাহায্যে কেটে নিয়ে পেরেক বানাতো। পরে অবশ্য তার কেটে পেরেকের রুপ দেওয়ার পদ্ধতি চালু হয়েছে যদিও ১৬৩৬ সালে স্যার বেতিস বুলমার নামে জৈনিক ইংরেজ পেরেক তৈরি করার প্রথম মেশিনের প্যাটেন্ট নেন, সেটি তেমন সফল হয়নি।
কাজেই ১৮৩০ সালে এসেও আমরা দেখতে পাই ইংল্যান্ডে প্রায় ষাট হাজার লোক হাতে পেরেক বানিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেছে। সপ্তাহের শুরুতে মহাজনরা বিভিন্ন সাইজের দন্ডের আকারে লোহা শ্রমিকদের দিয়ে দিতেন। সপ্তাহের শেষে যে যতটা পারে পেরেক বানিয়ে মহাজনকে বুঝিয়ে দিত। হাতে বাননো এই পেরেক আর দুই হাজার আগেকার রোমানদের ব্যবহারিত যে পেরেক পাওয়া গিয়েছে তাদের মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নেই। এই বিংশ শতাব্দীরর শুরু থেকেই বলতে গেলে পেরেক মেশিনে টনে টনে বানানো সম্ভব হচ্ছে। তাই আজ আমরা এতো সহজে ঘরবাড়ি, আসবাবপত্র সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরি করে ফেলতে পারি। তাই পেরেক আবিষ্কার শতাব্দীর একটি গুরুপ্তপূর্ন আবিষ্কার!
এখন ইচ্ছেমত পেরেক ঠুকতে, বাকাতে, হারিয়ে ফেলতে আর কোনো বাধা নেই!
সবাইকে ধন্যবাদ, আশা করি আপনারা সবসময় NatureLife.Ga এর সাথে থাকবেন।
Share This

0 Response to "কেমন করে এলো পেরেক জেনে নিন সেই ইতিহাস!"

Post a Comment

আপনার মন্তব্য জানান