পিরামিড পৃথিবীর অন্যতম রহস্য গুলোর মধ্যে একটি।
আজ পিরামিড সম্পর্কে কিছু জানব।
প্রাচীন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ যুগ গুলোর মধ্যে মিশরিয় সভ্যতা অন্যতম।
এখানের সবচেয়ে আশ্চর্যের বস্তু হচ্ছে মমি এবং পিরামিড।
আজ পিরামিড সম্পর্কে কিছু জানব।
প্রাচীন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ যুগ গুলোর মধ্যে মিশরিয় সভ্যতা অন্যতম।
এখানের সবচেয়ে আশ্চর্যের বস্তু হচ্ছে মমি এবং পিরামিড।
আশ্চর্যের স্থাপত্য এই পিরামিড।এই পূযন্ত প্রায় 70 টি
পিরামিড আবিষ্কৃত হয়েছে।এর মধ্যে সবচেয়ে বড় হল
সম্রাট খুফুর পিরামিড।খুফুর মৃতদেহ মমি করে রাখার জন্য এই পিরামিড তৈরি করা হয়েছিল।এই পিরামিড তৈরি করতে 1 লাখ লোকের 20 বছর সময় লেগেছিল।
ভাবতে পার সেটি কত বড় কর্মযোগ ছিল।
একবার সম্রাট নেপোলিয়ানের জরিপ কারীরা হিসাব করে দেখিয়েছিলেন যে এতে যত পাথর লেগেছে তা দিয়ে 9 মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট এবং 3 মিটার প্রস্থ বিশিষ্ট
দেয়াল দিয়ে পুরো Paris কে ঘিরে ফেলা যাবে।আধুনিক গণিতবিদ ও স্থাপত্যবিদরা এটা ভেবেই পান না যে কী করে নির্ভুল সমকোণ বিশিষ্ট কোন এবং প্রতিপাশে সমান 750 ফুট বাহুবিশিষ্ট ভিতের উপর 475 ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট বিশাল পিরামিড সহ অন্যান্য পিরামিড গুলো তৈরি করা সম্ভব হয়েছিল।তখন কোন যন্ত্র ছিল না,এমন কী চাকা পর্যন্ত ছিল না।অথচ 40 তলার চেয়েও উঁচু এ স্থাপত্য তৈরির কাজে 15 টন মানে 5 টি হাতির সমান পাথর ও উপরে তোলা হয়েছে।
এই ভাবেই বিশ্বের ইতিহাসে দারুণ চমক সৃষ্টি করেছিল প্রাচীন মিশরের মেধাবী ও শত সহস্র পরিশ্রমী দাস মানুষেরা।
ফারাও নামে পরিচিত প্রাচীন মিশরীয় সম্রাটদের মমি করে রাখার জন্য এই পিরামিড তৈরি করা হত।এই সব মমির পাশে দাঁড়িয়ে সে যুগের কথা ভাবলেই মনে জাগে অপার বিস্ময়!মিশরে মমি করন প্রক্রিয়া আবিষ্কার হয়েছিল আজ থেকে 4 হাজার 600 বছর পূর্বে।মৃতদেহ থেকে প্রথমে দূত পচনশীল অঙ্গ যেমন মস্তিষ্ক, পাকস্থলী,অন্ত্র ইত্যাদি বের করে নিয়ে 70 দিন ধরে বিশেষ প্রক্রিয়ায় শরীরকে অপচনশীল তৈরী করা হয়।
মমির প্রক্রিয়া আজও রহস্যাবৃত।মৃতদেহের সারা গায়ে জরানো থাকে ব্যান্ডেজ।পিরামিডে প্রাপ্ত অনেক মমি আজও অক্ষত আছে।শুধু মানুষের মমিই নয়,কুকুরের মত প্রানীর মমিও পাওয়া গেছে।
পিরামিডের ভিতরে শুধু মমিই থাকত না,তার সাথে থাকত মমির সাথে দিয়ে দেওয়া অঢেল সম্পদ।তাই এগুলো রক্ষা করার জন্য পিরামিডে থাকত অনেক নকল দরজা,করিডোর - মৃত্যুফাদ ইত্যাদি তৈরি করা হয়েছিল।কিন্তু এতকিছু করার পরও সম্রাট তুতেন খামেনের শবাধার ছাড়া আর কিছুই রক্ষা করা যায়নি।
এই সম্রাটের কাফিন টি ছিল 2500 পাউন্ড ওজনের সোনার তৈরি।যার বর্তমান দাম 1 কোটি 30লক্ষ ডলারের বেশি!!!
পিরামিড বানিয়ে এবং তাতে মৃতদেহ রেখে কাজ শেষ হত না।পিরামিড পাহারা দেওয়ার জন্য পাথর কেটে তৈরি করা হত বিশাল মূর্তি।
গ্রেট স্ফিংস নামে খ্যাত 240 ফুট লম্বা মূর্তিটি মহিমান্বিত সম্রাট বানিয়েছিলেন তার পিরামিড পাহারা দেওয়ার জন্য।
আজকের আধুনিক সভ্যতায় মিশর এখনও আশ্চর্যের বিষয়।মমির প্রক্রিয়া আজও রহস্যাবৃত।
0 Response to "পিরামিডের রহস্য"
Post a Comment
আপনার মন্তব্য জানান